অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২৪

 অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে
মোবাইল দিয়ে ইনকাম করুন যেকোন ওয়েবসাইট এবং প্লাটফর্মে

 যারা অনলাইনে ইনকাম করতে চান, তাদের জন্য আজকের এই পোস্টটি অধিক কার্যকরী হবে যদি আপনি সম্পুর্ণ পোস্টটি পড়েন কোনরকম স্কিপ না করে। তাহলে শুরু করা যাক্। প্রথমে আপনাদের বলছি, আপনারা অনেকেই হয়তো ইউটিউব এ সার্চ করেছেন, "অনলাইন ইনকাম " লিখে। তারপর অনেক গুলো ইনকাম রিলেটেড ভিডিও দেখেছেন। যেমন; ভিডিও দেখে ইনকাম, এড ভিও করে ইনকাম, ছবিতে লাইক কমেন্ট করে ইনকাম, পোস্ট শেয়ার করে ইনকাম, জুয়া খেলে ইনকাম, গেমস খেলে ইনকাম, রেফার করে ইনকাম, লিংক পেস্ট করে ইনকাম, ফেইসবুক থেকে ইনকাম, লিংক সর্টেন্ট করে ইনকাম, ইনভেস্ট করে ইনকাম আরও কত কিছু। এসব ভিডিও দেখে ইনকাম করার জন্য অনেক কিছুই করেছেন। যেমন; প্লেস্টোর থেকে অনেক অ্যাপস ইনিস্টল করে একাউন্ট তৈরি করে অযথা ভিডিও দেখে, এড ভিও করে অনেক সময় ব্যয় করে কোন ইনকাম অনেকেই করতে পারেনি। এসব করে অনেকেই নিজের উপর কনফিডেন্স হারিয়ে ফেলেছে। এসব ফাঁদে পড়ে অনেকেই প্রতারিত হয়েছে। আসলে ইউটিউব চ্যানেলে এসব ভিডিও তৈরি করা হয় তাদের ইনকাম করার জন্য। ইউটিউব এ আমরা অনেকেই ইনকাম রিলেটেড ভিডিও লিখে সার্চ করি বলেই, অনেক ইউটিউব ভাইরা এসব ইনকাম রিলেটেড ভিডিও বানিয়ে তাদের চ্যানেলে ভাইরাল করে তাদের চ্যানেলের জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং সাধারণ মানুষ গুলোকে বোকা বানিয়ে তারা ইনকাম করে। তাদের এসব ভিডিও গুলো যত বেশি ভিও হবে তত বেশি ইনকাম হবে তাদের।তাহলে বুঝতেই পারছেন ইউটিউবে এসব ভিডিও দেখে আসলে ইনকাম একেবারেই অসম্ভব একটা বিষয়। আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে পোস্টটি শেয়ার করছি, তার আগে আমি আপনাদের মাঝে একটা কথা সবার আগে বলছি সেটা হলো, অনলাইনে ইনকাম করার জন্য আপনার পূর্ণাঙ্গ একটি কোর্স এবং সেই কোর্সের সঠিক গাইডলাইন প্রয়োজন। এই পূর্ণাঙ্গ কোর্সটি যখন আপনি সম্পূর্ণ করতে পারবেন, সেদিন থেকেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এই কোর্সটির মধ্যে আপনার নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে এত বেশি ইনকাম করতে পারবেন যা আপনার কল্পনারও বাইরে। আপনি নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। পরিবার ও সমাজে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারবেন। চলুন তাহলে শুরু করি সেই কোর্স নিয়ে।

ব্লগিং করে ইনকাম:
মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যায় যেকোন ইনকামের বিভিন্ন প্লাটফর্মে

অনলাইন ইনকাম করার সবচেয়ে অধিক কার্যকরী এবং শতভাগ নিশ্চয়তা যা আপনি এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে আপনার সময়, দক্ষতা, যুক্তিযুক্ত চিন্তাধারা ব্যয় করে অনলাইন থেকে প্রচুর পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। আপনি হয়তো ব্লগিং সম্পর্কে জানেন না বা হয়তো ব্লগিং সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা নেই যে এটা কিভাবে শুরু করবো এবং এই বিষয়ে গাইড লাইন কোথায় পাবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক ব্লগিং সম্পর্কে। সহজভাবে বুঝার জন্য নিম্নে ব্লগিং সম্পর্কিত কিছু টপিক দেওয়া হলো এবং প্রতিটা টপিক এর ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করবো যাতে আপনি সমস্ত কিছু অনুধাবন করতে পারেন। 

  • ব্লগিং কি?
  • ব্লগ পোস্ট পাবলিশার্স  
  • ব্লগ পোস্টের জন্য ওয়েবসাইট 
  • ব্লগ পোস্টের কাস্টমাইজেশন্স
  • এডসেন্স যুক্ত করা 
  • কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন 
  • পোস্ট আপলোড 
  • কাস্টম ডোমেইন 
  • ব্লগিং করে ইনকাম 
ব্লগিং: ব্লগিং হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর অন্যতম একটি প্লাটফর্ম। যেখানে আপনার লেখা, কন্টেন্ট, থিওরী, উপন্যাস, গল্প,ছবি ও অন্যান্য বিষয় যুক্ত করবেন। এখন বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি এতটাই উন্নয়ন হয়েছে যে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইন্টারনেট, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন এখন ঘরে ঘরে। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। সকলেই এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করতাছে। তারা দৈনন্দিন চাহিদা, ইচ্ছা ও প্রয়োজন অনুভব করে গুগলে সার্চ করে থাকে, তাদের প্রয়োজনীয় টপিক গুলো সার্ভারে দেওয়া থাকে। সেখান থেকে তাদের কাঙ্খিত সার্ভারে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় টপিক গুলো ভিও করে থাকে। অন্য ভাবে, সহজ করে বলতে গেলে ব্লগিং হলো লেখা লেখির এমন একটি প্লাটফর্ম বা ওয়েব সাইট যেখানে ভিজিটররা তাদের ইচ্ছা বা জানার জন্য সেখানের পোস্ট গুলো ভিও করে থাকে। 

ব্লগ পোস্ট পাবলিশার্স  

আপনি যে বিষয়ে ব্লগ পোস্ট লেখা শুরু করবেন, তার আগে চিন্তা করতে হবে আমি কোন্ বিষয়ে লিখতে চলেছি এবং ভিজিটরের এই বিষয়ে পড়ার আগ্রহ বা ইচ্ছা আছে কি নেই, অর্থাৎ আপনাকে লেখার পূর্বে এমন বিষয় নির্ধারণ করতে হবে ওয়েবসাইট এ ভিজিটররা কোন্ বিষয়ে বেশি সার্চ করে বা তাদের কোন্ বিষয়ে আগ্রহ বেশি, সেসব টপিক গুলো নিয়ে লেখা লেখি শুরু করতে হবে। ব্লগ লেখার জন্য অবশ্যই লেখা গুলো হতে হবে মার্জিত, সুন্দর ও শ্রুতিমধুর। ব্লগ লেখার সময় অতিরিক্ত কঠিন ভাষার শব্দ পরিহার করতে হবে। ব্লগ লেখার সময় আরেকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, যে বিষয়ে টপিক সে বিষয় গুলোর সাবলীল ও ধারাবাহিক ভাবে উপস্থাপন করা। তাহলে ভিজিটররা একদিকে যেমন পড়ার আগ্রহ পায় অন্যদিকে এরকম ক্যাটাগরির টপিক আরও সার্চ করে থাকে। ব্লগ পোস্ট লেখার জন্য আরেকটি বিষয়ে সবসময়ই সতর্ক থাকতে হবে ব্লগ পোস্টের এমন কোনো বিষয় যাতে দেশের আইনের উপর নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। অর্থাৎ দেশের আইন বিরোধী এমন কোনো বিষয়ে ব্লগে উপস্থাপন করা যাবে না। এরপরে ধর্মবিরোধী সংষ্করন, সামাজিক বিরোধী, কারো সমালোচনা করা,নিন্দা করা, কটুৎ্তি মুলক শব্দ ব্যবহার করা, ব্লগ পোস্টের কোন অংশেই যাতে ব্যবহৃত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর যদি কোন কারনে এইসকল বিষয় ব্লগে বিদ্যমান থাকে তাহলে ব্লগ পোস্ট এর ওয়েবসাইটটি সাসপেন্ড করে দেওয়া হবে গুগল কর্তৃপক্ষ থেকে। এরপরে আরও করণিও বিষয় হলো যে টপিকের উপর লেখা লেখি হচ্ছে সে টপিকের পর্যাপ্ত তথ্য জানা থাকতে হবে, যাতে টপিকের বিষয় গুলো পর্যাপ্ত তথ্যবহুল ও যথাপযুক্ত হয়। ব্লগপোস্ট এর টার্গেট হবে কমপক্ষে একহাজার ওয়ার্ড নিয়ে একটি সম্পুর্ণ টপিক তৈরি করা। তবে একহাজার ওয়ার্ড এর বেশি হলে টপিকটি আরও ভালো হয়।কিন্তু একহাজার ওয়ার্ড এর কম হলে টপিক এর মান কমে যাবে এবং এসইও কম হবে।যার কারনে ভিজিটর অনেক কমে যাবে। 

ব্লগের জন্য ওয়েবসাইট 


ব্লগ পোস্ট তৈরি, নিয়ন্ত্রন ও পরিচালনা করার জন্য অবশ্যই নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন। যেখানে আপনি ইচ্ছে মতো যা কিছু করতে পারবেন। অন্যের কাছে জবাবদিহি করতে হবে না। আপনার নিজস্ব চিন্তা ধারা প্রয়োগ করে আপনার ওয়েবসাইট সাজিয়ে রাখবেন বা কাস্টমাইজেসন্স করতে পারবেন। ব্লগ পোস্টের জন্য বিভিন্ন ধরণের থিম ইনস্টল করতে পারবেন।বর্তমান সময়ে ব্লগ পোস্টের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি ওয়েবসাইট হলো ব্লগার ডট কম এবং অপরটি হলো ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম।
ব্লগার ডট কম: ব্লগার ডট কম হলো গুগলের একটি অন্যতম প্লাটফর্ম। যেখানে গুগল এই ওয়েবসাইট থেকে আয় করে থাকে, মাসে মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। এই ওয়েবসাইট এর মালিক গুগল নিজেই। অর্থাৎ গুগল এই ওয়েবসাইট নিজেই পরিচালনা করে থাকে। বর্তমানে "ব্লগার ডট কম" এ অনেকেই ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম শুরু করেছে। এই ওয়েবসাইটি এতটাই জনপ্রিয় যে প্রতিদিন মিলিয়ন বিলিয়ন ভিজিটর ব্লগ পোস্ট ভিও করে।

ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম: ব্লগ পোস্টের আরেকটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হলো ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম। এখানে মানুষ লেখালেখি করে প্রতিদিন অনেক টাকা আয় করছে। এই ওয়েবসাইট এর নিজস্ব কোন মালিকানা নেই। এটি পরিচালনা করার জন্য একক কোন ব্যক্তি নেই। এটি সম্পুর্ণ মালিকানা মুক্ত হোস্টিং অয়েবসাইট। অর্থাৎ ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম এ যে ব্যক্তি হোস্টিং কিনে ওয়েবসাইট তৈরি করবে সে ব্যক্তি এই ওয়েবসাইট এর নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করতে পারবে।

সুবিধা ও অসুবিধা : এখন আলোচনা করা যাক্ এই দুটি ওয়েবসাইট এর সুবিধা ও অসুবিধা বিষয় নিয়ে। প্রথমত ব্লগার ডট কম ওয়েবসাইটটি হলো গুগলের। এক্ষেত্রে গুগল ব্যবহারকারীকে যে সুবিধা প্রদান করছে তা হলো হোস্টিং এবং ডোমেইন ফ্রি। অর্থাৎ ব্যবহারকারীকে কোনরকম ডোমেইন, হোস্টিং ক্রয় করতে হবে না। যার কারনে ব্যবহারকারীকে কোন অর্থ ব্যয় করতে হবে না এই ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য। অপরদিকে ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম ওয়েবসাইট এর মালিকানা ভিত্তি না থাকার কারণে ব্যবহারকারীকে অবশ্যই ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করতে হবে, যার কারনে অর্থ ব্যয় করতে হবে, এই ওয়েবসাইটটি পরিচালনা করার জন্য।
নিরাপত্তা একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেখানে আপনি নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করবেন সেখানে কতটা নিরাপত্তা বিদ্যমান থাকবে ভবিষ্যত কালের জন্য। ওয়েবসাইটটির স্থায়িত্ব, রেনকিং এসইও,হ্যাকিং সম্ভাবনা। এই বিষয়ে প্রথমেই আলোচনা শুরু করা যাক্ ব্লগার ডট কম সম্পর্কে। ব্লগার ডট কম ওয়েবসাইটটি হলো গুগলেরই একটি অন্যতম প্লাটফর্ম। যেখানে গুগল আয় করে থাকে। আমরা দৈনন্দিন জীবনে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইন্টারনেট এর উপর নির্ভরশীল। আমাদের জানার ও শিখার জন্য বিভিন্ন ব্রাউজারে আমরা সার্চ করে থাকি এবং বিভিন্ন সার্ভার দেখতে পাই, এই বিভিন্ন সার্ভার গুলো হলো গুগলের তৈরি করা সার্ভার। তা হলে তো বুঝায় যাচ্ছে গুগল কতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে তার নিজস্ব প্লাটফর্মে। বলা যায় নেট সার্ভারে গুগলই হলো সবার বস্। অর্থাৎ নেট সার্ভার যতদিন থাকবে গুগল ও ঠিক তত দিন থাকবে এর স্থায়িত্ব হবে দীর্ঘদিন। এটা কখনোই বিলুপ্ত বা সার্ভিস বন্ধ হবে না। ব্লগার ডট কম যেহেতু গুগলেরই একটি প্লাটফর্ম, এটার স্থায়িত্বয় হবে দীর্ঘদিন। এটার সার্ভিস কখনোই বন্ধ হবে না। অপর দিকে ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম ওয়েবসাইটটির কোনো মালিকানা ভিত্তি নেই। এটি কোন একক ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হয় না। এটি কতদিন টিকে থাকবে বা এর সার্ভিস কখন শেষ হবে তা নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব না। অপর দিকে হ্যাকিং প্রবলেম বিষয়টা হচ্ছে উভয় সাইট দুটোই নিরাপদ। এতে হ্যাকিং হবার চান্স একেবারেই কত। তার মধ্যে ব্লগার ডট কম ওয়েবসাইটটি বেশি উন্নত। এটার নিরাপত্তা দানকারী গুগল নিজেই। এতে শতভাগ নিশ্চয়তা এবং এটি অন্য কেউ হ্যাক করতে পারবেনা। 

ব্লগ পোস্টের কাস্টমাইজেসন্স:
ব্লগ পোস্টের কাস্টমাইজেসন্স করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। ব্লগ পোস্ট লেখার জন্য কোন্ ভাষা নির্ধারণ করা হবে সেই বিষয়টি পূর্বেই নিশ্চিত হতে হবে। তাছাড়া কোন্ দেশের মানুষেরা ব্লগ পোস্ট ভিও করবে তা লোকেশনে যুক্ত করতে হবে। ব্লগ পোস্ট ভিজিটরদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ব্লগে নতুন নতুন ফিচার এড করতে হবে। প্রয়োজনীয় থিম ইনস্টল করতে হবে, ব্লগের মান উন্নয়নের জন্য।

এডসেন্স যুক্ত করা :
ব্লগে এডসেন্স যুক্ত সবচেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়, যা ইনকামের অন্যতম একটি প্লাটফর্ম। যেখানে ব্লগাররা ব্লগ পোস্ট লেখা লেখি করে ডলার ইনকাম করে। এডসেন্স হলো গুগলের এমন একটি বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠান যেখানে গুগল আয় করে থাকে। অর্থাৎ এডসেন্স হলো গুগলের আরেকটি অন্যতম প্লাটফর্ম, যেখানে এই প্লাটফর্মকে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে যুক্ত করে মানুষ এখন ইনকামের ব্যবসা তৈরি করছে।

কি কি যোগ্যতার প্রয়োজন :

ব্লগ পোস্ট তৈরি করার জন্য অবশ্যই যোগ্যতার বিষয় গুলো নির্ধারণ করা প্রয়োজন। ব্লগ পোস্ট লেখা লেখির জন্য অবশ্যই নূণ্যতম কিছু বৈশিষ্ট্য যেমন; লেখা লেখির প্রতি ইচ্ছা ও আগ্রহ। বেশি বেশি লেখার জন্য ধৈর্যশক্তি। যে বিষয় নিয়ে লেখা লেখি সে বিষয়ে পর্যাপ্ত তথ্য ও জ্ঞান থাকা আবশ্যক। লেখা লেখির বিষয় গুলোর উপর যুক্তি সমৃদ্ধ তথ্য বিশ্লেষণ অনুধাবন করা। নিয়মিত ব্লগ পোস্ট তৈরির জন্য দীর্ঘ সময় ব্যয় করার মনোনিবেশ গড়ে তোলা। ব্লগ পোস্টের কার্য সম্পাদন করার জন্য একটি ভালো মানের মোবাইল ফোন বা কম্পিউটার ডিভাইস, সাথে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবস্থা প্রয়োজন।

পোস্ট আপলোড :

ব্লগ পোস্ট তৈরি এবং ব্লগ পোস্ট আপলোড, ব্লগিং এর একটি স্বাভাবিক কার্যক্রম। তবে ব্লগ পোস্ট আপলোড করার পূর্বে করণিও বিষয় গুলো হলো, ব্লগ পোস্ট যাতে কপিরাইট না হয় অর্থাৎ অন্যজনের লেখা বা কন্টেন্ট অথবা অন্যকোন ওয়েবসাইট থেকে লেখা কপি করে নিজের ব্লগ পোস্টে উপস্থাপন করা যাবে না। কেউ যদি এরকম কাজ করে তাহলে তার ওয়েবসাইটির সার্ভিস বন্ধ করে দিবে গুগল কর্তৃপক্ষ এবং এসইও করতে সম্যসা হবে। অর্থাৎ ব্লগিং করার সময় কাউকে অনুসরণ অনুকরণ না করে নিজের মেধা ও সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে ব্লগ পোস্ট তৈরি করতে হবে। ব্লগিং এর সরঞ্জাম বা লেখা লেখির যে উপকরণ সন্নিবেশিত থাকে সেগুলোর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে ব্লগ পোস্টের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে হবে। ব্লগ পোস্ট ভিও করার জন্য ভিজিটররা কোন্ ডিভাইস থেকে ভিও করবে সেটা নির্ধারণ করে ব্লগ পোস্ট আপলোড করতে হবে। 

কাস্টম ডোমেইন:
একটি ব্লগ ওয়েবসাইট এর জন্য কাস্টম ডোমেইন এড করা একটি অপরিহার্য উপাদান যেখানে এসইও করার জন্য একটি উত্তম পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। নতুন বা ফ্রী ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করার পরে যদি ব্লগ সাইট এ ভিজিটর না আসে তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কাস্টম ডোমেইন ক্রয় করে ব্লগ ওয়েবসাইটে এড করতে হবে। তাহলে Search Engine Organization এ সার্ভার প্রদর্শন হবে। বিপুল সংখ্যক ভিজিটর আসবে ব্লগ ওয়েবসাইটে। ডোমেইন ক্রয় করার সময় অবশ্যই টপ লেবেল ডোমেইন ক্রয় করতে হবে। অন্য কোন নিচু লেবেলের বা কম মূল্যের ডোমেইন ব্লগ ওয়েবসাইটে ব্যবহার করলে ওয়েবসাইটে ভিজিটরের সংখ্যা হ্রাস পাবে। টপ লেবেল ডোমেইন এর মধ্যে ডটকম ডোমেইন সবচেয়ে অধিক জনপ্রিয়। বর্তমান সময়ে ডটকম ডোমেইন এর মূল্য এক বছরের জন্য ১২৫০-১৫০০ টাকা। ডোমেইন এর সাথে আরেকটি হোস্টিং বিষয়টি জড়িত। ব্লগার ডটকম ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য শুধু কাস্টম ডোমেইন ব্যবহার করতে হবে। অপরপক্ষে ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ডোমেইন এর সাথে হোস্টিং প্ল্যান কিনে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।উল্লেখ্য বিষয় যে হোস্টিং প্ল্যান ক্রয় করার জন্য অতিরিক্ত অর্থ প্রদান করতে হবে। ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করার জন্য সবচেয়ে বেশি নিরাপদ প্লাটফর্ম হলো পুতুল হোস্ট ডটকম। এখান থেকে ডোমেইন কিনলে কেউ স্ক্যাম বা প্রতারিত হবে না। এখান থেকে অসংখ্য ডোমেইন ক্রয় করা যায়। 

ব্লগিং করে ইনকাম:
সর্বশেষ এবং সবচেয়ে আকর্ষণীও ধাপ হলো ব্লগিং করে কিভাবে আয় করা যায়। চলুন তাহলে শুরু করি। ব্লগিং সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য উপস্থাপন এবং এর ধারাবাহিক কার্যক্রম বর্ণনা করা হয়েছে এই পোস্টে। যাতে প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে অনুধাবন করা যায়। এখন মূল বিষয় হলো এখান থেকে কি কি পদ্ধতিতে আয় করা যাবে। এখানে ইনকাম বা আয় করার অনেক গুলো পদ্ধতি আছে। তার মধ্যে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো গুগল এডসেন্স যুক্ত করে আয় করা। এখান থেকে কি পরিমাণ ইনকাম হবে সেটা নির্ভর করবে ওয়েবসাইটে যে পরিমাণ ভিজিটররা ভিও করবে।অর্থাৎ যত বেশি ভিও হবে তত বেশি ইনকাম হবে। এটা সরাসরি নির্ভর করবে ওয়েবসাইট এর এসইও এর উপর। এসইও বাড়ানোর করণিও বিষয় গুলো হলো ব্লগিং এর টপিক গুলো যাতে ভিজিটরদের চাহিদা ও পছন্দের তালিকায় থাকে সে বিষয় বস্তু গুলো নিয়ে ব্লগিং শুরু করা। আরেকটি বিষয় নির্ধারণ করতে হবে যাতে ব্লগ ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণ পোস্ট বিদ্যমান থাকে। যত বেশি পোস্ট থাকবে তত বেশি ভিও হবে। পোস্টে যত বেশি ভিও হবে তত বেশি ইনকাম। যদি বাংলাদেশ থেকে ভিও হয় তাহলে প্রতি একহাজার ভিও এর ১ডলার(১ডলার=৮০টাকা) আয় হবে। আর যদি অন্যকোন কান্ট্রি থেকে যেমন ইউনাইটেড কান্ট্রি থেকে ভিও হয় তাহলে প্রতি একহাজারে ২থেকে ৩ডলার ইনকাম হবে। এর পরে ইনকামের আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে ব্লগে লিংক সর্টেন্ট যুক্ত করে প্রচুর পরিমাণ ইনকাম করা যায়। আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং লিংক ব্লগে শেয়ার করে আনলিমিটেড আয় করা যায়।

ধন্যবাদ ভিওয়ারস সম্পূর্ণ পোস্টটি ভিও করার জন্য। পরবর্তীতে আরও "অনলাইন ইনকাম" এর বিভিন্ন কোর্স নিয়ে আলোচনা হবে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আজকের মতো বিদায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)