তুলসি পাতার বিশেষ গুণ
আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজকে যে বিষয়ে আলোচনা করবো তা পোস্টের টাইটেল দেখেই বুঝতে পেরেছেন। তুলসি পাতার মধ্যে এমন কিছু বিশেষ গুন রয়েছে যা আমাদের শারীরিক সক্ষমতা ও সু্স্থতার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেকেই জানি না তুলসি পাতার মধ্যে এমন কি বিশেষ গুণ রয়েছে, যা কিছু রোগের নিরাময় হিসেবে বেশ কার্যকরী। বর্তমান সময়ে মহামারী ও বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ যেনো বেড়েই চলেছে। মানুষ এর থেকে প্রতিকার পেতে বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ও দেশী-বিদেশী ঔষধ সেবন করছে। বিভিন্ন রোগের মধ্যে কিছু রোগ রয়েছে যেগুলো নামি-দামী এন্টিবায়োটিক ঔষধের মাধ্যমেও নিরাময় হয় না, সেখানে তুলসি পাতা বেশ কার্যকরী। চলুন জেনে নেওয়া যাক্ কোন্ কোন্ রোগের ক্ষেত্রে তুলসি পাতার ব্যবহার অতুলনীয়।
হাপানী ও শ্বাসকষ্ট দূর করতে তুলসি পাতার ব্যবহার
সর্দি কাশি ও ঠান্ডা দূর করতে তুলসি পাতার ব্যবহার
সর্দি কাশি ও ঠান্ডার জন্যও বেশ উপকারী তুলসি পাতা। তুলসি পাতার মধ্যে রয়েছে এন্টিব্যাক্টেরিয়াল নামক একটি উপাদান যা সর্দি কাশি ও ঠান্ডার মতো জীবাণুকে ধ্বংস করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এটি গলা ব্যথা ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করে নিমিষেই। সবচেয়ে ভালো ফলাফল পেতে তুলসি পাতার চা বানিয়ে সেবন করতে হবে।
মানসিক চাপ ও মাথাব্যথা দূর করতে তুলসি পাতার ব্যবহার
বর্তমান সময়ে কমন এবং অহরহ সমস্যার মধ্যে মানসিক চাপ এবং হতাশাগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা পরিলক্ষিত হয়। মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা একজন মানুষকে পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। অনিদ্রা ও অসাভাবিক অস্থিরতা দেখা যায়। সেই সাথে শারীরিক দূর্বলতা দেখা দিতে পারে। তুলসি পাতার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমান এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং কেরোটিন-সি নামক বিশেষ গুণ রয়েছে যা মানসিক চাপ দূর করতে সক্ষম এবং সেই সাথে মনকে সতেজ এবং প্রফুল্ল করতে। এটি যাবতীয় দুশ্চিন্তা ও অনিদ্রা দূর করে শারীরিক সক্ষমতা বজায় রাখে। এটি হার্টকে সুস্থ রাখে এবং রক্ত চলাচলের মাত্রা বজায় রাখে।
ত্বকের যত্নে তুলসি পাতার ব্যবহার
ত্বকের রোগের মধ্যে খোঁজ-পাচড়া,দাউদ,একজিমা ও চুলকানি আমরা অনেকেই পরিচিত। সাধারণত এ ধরণের রোগ হয় রক্ত দূষণের কারণে। এই ধরণের রোগের ক্ষেত্রেও তুলসি পাতার ব্যবহার অতুলনীয়। এই ধরণের চিকিৎসার ক্ষেত্রে তুলসি পাতা দুভাবে ব্যবহার করা যায়। প্রথমতো সমপরিমাণ নিমপাতা ও তুলসিপাতা একত্রে ভালো ভাবে বেঁটে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে দেওয়া। অপরটি হচ্ছে নিমপাতা ও তুলসিপাতার জলীয় পানির সাথে কিছু পরিমান চিনি অথবা মধুর সংমিশ্রণ করে, সকালে এবং দুপুরে ২টেবিল চামচ ৫-৭দিন সেবন করতে হবে।